ব্রেকিং নিউজ
পঞ্চগড় মোবাইল চুরির অভিযোগে এক নারীকে বেঁধে নির্যাতন বাপ্পীর সুস্থতা কামনায় দাকোপ বিএনপির মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম, অস্বস্তি মাছ মাংসের বাজার বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলট আসিমের মরদেহ মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে, স্বজনদের আহাজারি রাসুল (সা.) দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য যে দোয়া পড়তেন বিদায়ী শ্রেষ্ট শিক্ষিকা লিপিকা দস্তিদারের অবসরে যাওয়ায় বিদায় সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান
×

ইসলামী ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮/৩/২০২১ ১১:৪৪:২৮ PM

মার্চ বাঙালির বীরত্বের কথা বলে

সামিন ইয়াসার আজহা

 

দেশের ইতিহাস সমগ্র পড়তে গেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা মনে পড়ে যায়। এমনকি চোখের সামনে ভাসতে থাকে তার ছবি, ভাসতে থাকে ইতিহাসের বইয়ে পড়া তার সকল কৃতকর্মের কথা। মার্চ স্বাধীনতার মাস৷ মার্চ মাসে পা দিলেই মনে পড়ে যায় বাঙালির ত্যাগের কথা। মনে পড়ে যায় বীরত্বের কথা। এ মাস ধরেই শুরু হয় এ মাতৃভূমির শোষণ মুক্তির পথ। পুনরায় প্রকাশিত হয় বীর বাঙালির গৌরবের কথা।

 

বাঙালিরা স্বাধীনতার জন্য কী করেনি! দিয়েছে জীবন, দিয়েছে রক্ত, দিয়েছে দেশের প্রতি অসীম ভালবাসা। শুধু কি রক্ত দিয়েই দেশ স্বাধীন হয়েছে? এর পিছে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অভাবনীয় পরিকল্পনা। তবে এমনও নয় যে রক্ত দিতে হয়নি দেশের জন্য। দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন বুকে গেঁথে রেখে ঝাপিয়ে পড়েছে যুদ্ধে। ভুলে গিয়েছিল তাদের জীবন-মরণ সম্পর্কে। মাথায় একটাই চিন্তা, এবং চিত্তে একটাই লক্ষ ছিল—দেশ স্বাধীন করতেই হবে। 

 

৩০ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। রক্ত দিয়েছে লক্ষ্য-লক্ষ মানুষ। শুধু তাই নয় পূর্ব বাংলার উপর করেছে আক্রমণ, নারীদেরকে করেছে নির্মম ভাবে নির্যাতন। বর্তমান প্রজন্মের মানুষেরা বেজায় আগ্রহ নিয়ে জানতে চায়—পশ্চিম পাকিস্তানিরা কী আসলেই মানুষ ছিল, নাকি মানুষরূপী পশু ছিল। যাদের বাহিরটা দেখতে সম্পূর্ণ মানুষের মতই কিন্তু অভ্যন্তরে বাস করত উন্মাদ পশু!

 

এবার মার্চ মাসের ইতিহাসের পাতা কিছুটা ঘাঁটা যাক। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত অসহযোগ আন্দোলন পরিচালিত হয় এবং ছাত্র সংগঠন "স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ" গঠন করে। এবং সে দিনই ডাকসু ভিপি সর্বপ্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। তাই ২ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস পালিত হয়। মার্চের ৩ তারিখে ছাত্র সংগঠন গুলো স্বাধীনতার ইশতিহার পাঠ করে রমনা পল্টন ময়দানে এবং ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন৷ ১৭ তারিখ জন্মগ্রহণ কিরে তবে ১৮ তারিখ ছিল সবচেয়ে নিকৃষ্ট দিন। কারণ, সেদিন টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলী "অপারেশন সার্চলাইটের" নীল নকশা তৈরী করে। যা কার্যকর করা হয় ২৫ মার্চ বা কালরাতে। সেদিন পূর্ব বাংলার উপর চালানো হয় গণহত্যা।

 

তারপরও বাংলার বীরেরা মানেনি হার। চালিয়েছে আক্রমণ। হয়েছে মুখোমুখি যুদ্ধ। যা ইতিহাসে কথিত আছে রাষ্ট্র জয় করতে হয় রক্ত দিয়ে। ঠিক তাই করেছিল পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালি বীরেরা। অন্যদিকে, পৃথিবীর দুটি দেশে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছি৷ একটি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরেকটি হল  বাংলাদেশ। পুরো পৃথিবী অবগত আছে এই বিজয়ের সম্পর্কে। এভাবেই এই গৌরব নিয়ে বেঁচে আছে বাংলার মানুষ। এই বিষয়টি হল সম্মানের বিষয়, এই দিনই আজ বাংলার মানুষের স্বাধীনতা দিবস। এমন গৌরব, এমন সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা বাঙালির প্রাপ্য। এ সম্মান নিয়েই বেচে থাকুক অনন্ত কাল।

 

লেখক,

সামিন ইয়াসার আজহা